শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০০ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহন উপজেলার ৬নং ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সাদাপুল সংলগ্ন হাজী বাড়ি মোশারফ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী সেলিম বলেন,১৫ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ৬ ঘটিকার সময় কুয়াশা ভিতরে আমার বাড়ি থেকে জমির দলিলের উদ্দেশ্য ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ভায়রা বজলুর বাড়িতে রওয়ানা দেই।
পথিমধ্যে সাদাপুলের পূর্ব পাশে মোশারফ ও তার ছেলে আরিফ সহ কিছু লোক আমাকে বড় দুইটা ছুরি ঠেকিয়া ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমি চিৎকার করলে আমার ভায়রা বাড়ির মহিলা পুরুষ সহ কিছু লোক এসে তাদের কাছ থেকে আমাকে উদ্ধার করে। তারা আরো বলেন, এই বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যান কে জানাই এবং থানায় অভিযোগ করি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মোশারফ নিজেকে ফরাজগঞ্জ ৯নং ওয়ার্ডের শ্রমিকলীগের সভাপতি দাবি করেন। মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসায় ও বিভিন্ন রকম চাঁদাবাজি করে এলাকায় রাম রাজত্ব করে আসছে। তার সন্ত্রাসী হামলায় শিকার ফরাজগঞ্জ ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ লোকজন।
স্থানীয় সাধারন লোকজন বলেন ওর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ জনগণ আমরা এর বিচার চাই। এই বিষয় ফরাজগঞ্জে ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার কাওছার বলেন,নতুন কিছু নয় মোশারফের বিরুদ্ধে এরকম ১০০ অভিযোগ রয়েছে কেউ প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয় তার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেনা। ফরাজগঞ্জের ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি উজ্জল বলেন,মোশারফের দুইজন বোন রয়েছে তাদেরকে দিয়ে বিভিন্ন মামলা দেয় ও যার পিছনে লাগে তার ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্ন কায়দায় ক্ষতি করে। এবং মামলার আসামিরা মীমাংসা করলে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা দিতে হয় মোশারফ কে। তার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেনা। স্থানীয় চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ বলেন,বিষয়টা আমি জানি ঘটনাটা সত্য এবং মোশারফ কে ভালো করে চিনি। ওর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। খুব খারাপ লোক গরিব অসহায় লোকদেরকে বিভিন্ন কায়দায় বিভিন্ন রকম হয়রানি করে এবং এলাকায় চাঁদাবাজি করে বেড়ায় কেউ প্রতিবাদ করলে বা কেউ জিজ্ঞেস করলে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। ওর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।
এ বিষয়ে মোশারফ এর সাথে কথা বললে সে নিজেকে শ্রমিক লীগের ওয়ার্ডের সভাপতি দাবি করে খুব উরগো মেজাজে কথা বলেন এবং বিভিন্ন মামলার ভয়-ভীতি দেখান। লালমোহন উপজেলার শ্রমিক লীগের সভাপতি জাকির হোসেন পঞ্চায়েত বলেন,মোশারফ খুব খারাপ তার ব্যবহার খুব খারাপ এইজন্য আমার কমিটি থেকে আমি বরিষ্কার করে দিয়েছি।সে যদি কোন অন্যায় করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এই বিষয়ে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।